১০ টাকা কেজি দরে ১৩টন চাল বিক্রি : সামাজিক দুরত্ব মানছেন না ক্রেতারা
কুড়িগ্রাম জেলায় ২৩জন ডিলারের মাধ্যমে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় ২০জন ডিলার ১০টি পয়েন্টে এবং পৌরসভার বাইরে ৩জন ডিলারের মধ্যে নাগেশ^রীতে ২জন এবং উলিপুর উপজেলায় একজন ডিলার ১টন করে চাল বিক্রি করছে।
সপ্তাহে রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবারে ওএমএস চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি পরিবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিয়ে চাল বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারছেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
মঙ্গলবার পৌর এলাকার কেন্দ্রিয় বাসটার্মিনাল, পৌরসভা ও ভকেশনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ক্রেতারা সামাজিক দুরত্ব না মেনে গায়ে গা ঠেকিয়ে লাইনে দাঁিড়য়ে চাল সংগ্রহ করছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দুরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে নিজেদেরকে ঝুঁকি’র মধ্যে ফেলেছেন ক্রেতারা। এছাড়াও সকাল ১০টার মধ্যে ওএমএস কেন্দ্র খোলার কথা থাকলেও ৯টা থেকেই লোকজন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে। এছাড়াও বিতরণে লোকবল কম থাকায় চরম অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সমস্যগুলোর কথা স্বীকার করে জানান, শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তারা শৃংখলার দায়িত্ব নিলে এই সমস্যা থাকবে না। একই সঙ্গে ভোগান্তি কমিয়ে আনতে প্রকৃত উপকারভোগীদের তালিকা সংগ্রহ করে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি কার্যক্রম চালানো হবে।